শি’শুবক্তা’ হিসেবে আ’লোচিত মা’ওলানা রফিকুল ইস’লাম মাদানীকে (২৭) আ’ট’ক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ২টা ২০ মিনিটে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজে’লার লেটিরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আ’ট’ক করা হয়।মা’ওলানা রফিকুল ইস’লামের আ’ট’কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জে’লা পু’লিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি র্যা’ব হেফাজতে।
এদিকে মাদানীকে র্যা’ব পরিচয়ে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন হেফাজতে ইস’লামের স্থানীয় নেতারা। এসময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
রফিকুল ইস’লাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া জানান, মাদানী মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধ’র্মীয় সভা করে নিজ বাড়ি আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে র্যা’ব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে রফিকুল ইস’লাম মাদানী, তার বড় ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূর স’ম্পর্কের ভাতিজা এনামুল হককে (২৮) তুলে নেয়া হয়। পরে বকুল মিয়াকে ওই রাতে ছেড়ে দিলেও অন্যদের আ’ট’ক করে অ’জ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
রমজান মিয়ার দাবি, এসময় মাদানীর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনসহ তাদের পরিবারের ছয়টি মোবাইল ফোন জ’ব্দ করে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফোনগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইস’লামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইস’লামের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জে’লা শহরের মালনী এলাকায় জামিয়া ইস’লামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মা’ওলানা আব্দুর কাইয়ুম, হেফাজতে ইস’লামের নেতা মা’ওলানা আসাদুর রহমান আকন্দ, মা’ওলানা তোবাইদ কাসেমী, আতাউর রহমান, গাজী আব্দুর রহিম, মাদানীর বড়ভাই রমজান মিয়া, চাচাতো ভাই নজরুল ইস’লাম প্রমুখ।হেফাজতের নেতারা জানান, রফিকুল ইস’লাম মাদানীও তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রফিকুল ইস’লাম মাদানীরা পাঁচ ভাই। তাদের মধ্যে মাদানী সবার ছোট। তার বাবার নাম মৃ’ত শাহাবুদ্দিন। মাদানী নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইস’লামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে পরে ঢাকায় চলে যান। সেখানে লেখাপড়া করাকালেই ‘শি’শুবক্তা’ হিসেবে আ’লোচিত হন।